সাহিত্য

লিটলম্যাগ বিন্দুর সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে

মানসম্মত কবিতা, গল্প বা সাহিত্য সমালোচনামূলক প্রবন্ধের প্রবল সঙ্কট, কখনও আর্থিক সঙ্কটে বন্ধই হয়ে যায় প্রকাশনা, এত প্রতিকূলতার পরও বের হচ্ছে সাহিত্যের ছোট পত্রিকা, যা লিটলম্যাগ নামেই পরিচিত।

২০০৬ সাল থেকে সাহিত্যনির্ভর লিটলম্যাগ ‘বিন্দু’ সম্পাদনা করছেন সাম্য রাইয়ান। মুদ্রণে অনিয়মিত হলেও এখন পর্যন্ত ২৬টি মুদ্রিত ও ২২টি অনলাইন সংখ্যা প্রকাশের মধ্য দিয়ে পত্রিকাটি ইতোমধ্যে দেশে বিদেশে বাঙলাভাষী সাহিত্যরসিকদের নজর কেড়েছে। মুদ্রিত বিশেষ সংখ্যা ‘উৎপলকুমার বসু’, ‘জন্মশতবর্ষে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ’ পাঠকমহলে বিশেষ সমাদৃত হয়েছে৷ এছাড়াও পত্রিকাটির অনলাইনেও বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছে নিয়মিত। বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল উদীয়মান কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে মাসুমুল আলম, সৈয়দ সাখাওয়াৎকে প্রসঙ্গ করে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে৷ সদ্য প্রয়াত শাহেদ শাফায়েতকে নিয়েও অনলাইন সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে৷ এবার প্রকাশিত হলে কথাসাহিত্যিক সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ সংখ্যা৷ তাঁর সাহিত্যকীর্তির প্রতি বিশেষ দৃষ্টিপাত করার উদ্দেশ্যে তাঁর সাক্ষাৎকার, তাঁকে নিয়ে আলোচনা–সমালোচনা দিয়ে সাজানো হয়েছে এ সংখ্যাটি। এ সংখ্যায় আছে সৈয়দ রিয়াজুর রশীদের ১১টি গল্প, ৯টি প্রবন্ধ ও ১টি শিশুতোষ গল্প৷ এছাড়া ২৯জন আলোচক তাঁর সাহিত্য আলোচনা লিখেছেন৷

এ প্রসঙ্গে সাম্য রাইয়ান বলেন, “বিন্দু সর্বদা এমন লেখককে নিয়ে কাজ করে, যিনি নিমগ্নচিত্তে সাহিত্যসৃষ্টি করে যাচ্ছেন৷ এমনই এক লেখক সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ সংখ্যা৷ বাংলাদেশে অন্যধারার কথাসাহিত্যিক হিসেবে তিনি নিজ আসন পোক্ত করেছেন। বাংলা ভাষায় কথাসাহিত্যের চর্বিতচর্বন কাহিনীর বদলে অন্যকিছু পড়তে চাইলে সৈয়দ রিয়াজুর রশীদের সাহিত্য পড়তেই হবে।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের ১৪ তারিখ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কথাসাহিত্যিক সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ সংখ্যা’ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। এরপর কেটে গেল চারটি মাস; লেখা সংগ্রহ— লেখকদের কাছে বই পৌঁছানো, কত কী! এতসবকিছুর পর প্রকাশিত হলো এ বিশেষ সংখ্যা। বরাবরের মতোই লেখকগণ শ্রমলব্ধ প্রবন্ধ দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গপ্রাপ্ত কয়েকজন লিখেছেন স্মৃতিকথা, অসামান্য প্রচ্ছদটি ডিজাইন করেছে কারখানা আইটি; এছাড়া আরো অনেক লেখক-সম্পাদক নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন, বিন্দু কৃতজ্ঞ সকলের প্রতি। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ব্যতীত এ আয়োজন সম্পন্ন করা সম্ভব হতো না।”

উল্লেখ্য, সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ এর জন্ম ১৯৬২ সালের ৪ঠা অক্টোবর সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে। পিতা: সৈয়দ হারুনার রশীদ, প্রয়াত; মাতা: জাহানারা রশীদ এবং বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ফরিদা হাফিজের সাথে। উত্তরবঙ্গের মানুষ হলেও তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবন কেটেছে ঢাকা শহরে। লেখাপড়া টিএন্ডটি স্কুল, নটরডেম কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবার্ট গর্ডন ইউনির্ভাসিটি, স্কটল্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ থেকে ঔষধবিজ্ঞানে সম্মান ও স্নাতক ডিগ্রী ছাড়াও অন্যান্য বিষয়: সাংবাদিকতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন অধ্যয়ন ও জেনোসাইড স্টাডিজে তিনি উচ্চতর সনদলাভ করেন। শিক্ষাত্তোর জীবনে বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তরে চাকুরী করেন ও স্বেচ্ছাবসর নিয়ে বর্তমানে যুক্ত রয়েছেন লেখাপড়া ও গবেষণা কেন্দ্রিক জীবনযাপনে।

সম্পূর্ণ সংখ্যাটি বিনামূল্যে পড়া যাবে এই লিংকে ক্লিক করে: https://www.bindumag.com/2023/11/syed-riazur-rashid-issue.html

1 Comment

  • Syed Reazur Rashid 29 নভেম্বর 2023

    সংবাদ প্রকাশের জন্য আমার ধন্যবাদ জানাই।

Syed Reazur Rashid শীর্ষক প্রকাশনায় মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।