রাশি ফল

আপনার এই সপ্তাহ

লুই পাস্তুর (ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ)বলেছেন –

“পরমাণুর বিক্রিয়ার মতো জীবনের গতিপথও একটি নিয়ন্ত্রিত বিষয়। উভয়টির গতিই পৃথিবীর গতির সঙ্গে সম্পর্কিত।“

এ কথার বিপরীতে অনেক কথাই আছে, তবে আমরা একটা বিষয় পরিস্কার করে বলতে চাই- মানুষ নিজেই তাঁর ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে অনেকাংশ, বাকি অংশ ভাগ্য বলতে দোষের কিছু নেই…

লুই পাস্তুর (ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ)বলেছেন –

“পরমাণুর বিক্রিয়ার মতো জীবনের গতিপথও একটি নিয়ন্ত্রিত বিষয়। উভয়টির গতিই পৃথিবীর গতির সঙ্গে সম্পর্কিত।“

এ কথার বিপরীতে অনেক কথাই আছে, তবে আমরা একটা বিষয় পরিস্কার করে বলতে চাই- মানুষ নিজেই তাঁর ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে অনেকাংশ, বাকি অংশ ভাগ্য বলতে দোষের কিছু নেই…

গত সপ্তাহে কথা দিয়েছিলাম ,আমার খুব প্রিয় একটা কবিতা আপনার জন্য এই সপ্তাহে বরাদ্দ আছে, কাজেই কবিতা আপনার জন্য –

ঈশ্বর আর প্রেমিকের সংলাপ

জয় গোস্বামী

– ‘সে যদি তোমাকে অগ্নিতে ফেলে মারে?’

বিনা চেষ্টায় মরে যাব একেবারে

— ‘সে যদি তোমাকে মেঘে দেয় উত্থান?’

বৃষ্টিতে, আমি বৃষ্টিতে খানখান

— ‘সে যদি তোমাকে পিষে করে ধুলোবালি?’

পথ থেকে পথে উড়ে উড়ে যাব খালি

— ‘উড়বে?– আচ্ছা, ছিঁড়ে দেয় যদি পাখা?’

পড়তে পড়তে ধরে নেব ওর শাখা

— ‘যদি শাখা থেকে নীচে ফেলে দেয় তোকে?’

কী আর করব? জড়িয়ে ধরব ওকেই

বলো কী বলব, আদালত, কিছু বলবে কি এরপরও?

— ‘যাও, আজীবন অশান্তি ভোগ করো!’

জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস নেই – এমন অনেকে ফোন দিয়েছেন। ম্যাসেজ করেছেন। আমি খুব বিনয়ের সাথে সকলকে একটা জবাব দিয়েছি-

“বিজ্ঞানময় পৃথিবীতে আমি ‘অপবিজ্ঞানময়’ নই। আমি নিজেও প্রবলভাবে বিজ্ঞানে বিশ্বাস করি। তবে ব্যাপারটা কি জানেন, যদি জ্যোতিষশাস্ত্রকে মনোরোগের চিকিৎসা হিসেবে দেখা হয়, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণের মুহূর্ত, দুঃখ, হতাশা ইত্যাদির মুখোমুখি হলে মানুষের মনে সান্ত্বনা এনে দেয়। কঠিন বিষয় নিয়ে চিন্তা বা উদ্বেগের পরিবর্তে, এটি দোষ চাপায় গ্রহদের ওপর বা যিনি গ্রহদোষ ব্যাখ্যা করেন তার ওপর। এই সমস্ত ক্ষেত্রে কারোর মনে যুক্তির কথা স্থান পায় না’।

আমার সাথে আপনাকে একমত হতে হবে এমনটা না। তবে আমি যা চাই- পড়ুন। পড়ার অভ্যাসটা গল্পে থেকে কবিতায়, কবিতা থেকে উপন্যাসে, এখান থেকে সেখানে, যেভাবেই হোক গড়ে উঠুক…প্রিয় বৃষ, আপনার জন্য আমার একটাই কথা এ সপ্তাহে-

“মহান মন ধারণা নিয়ে আলোচনা করে; গড় মন ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে; ছোট মন মানুষ নিয়ে আলোচনা করে”। – এলিয়েনর রুজভেল্ট 

 

জিপসি শব্দের মানে হলো নাম বা ঠিকানাহীন রহস্যময় লোক বা যাযাবর। জিপসিরা মূলত ইউরোপ ও আমেরিকার এক প্রকার যাযাবর জাতি। রোমানি বা রোমাদেরকে জিপসি বলা হয়। রোমানিরা মূলত ভারতীয়-আর্য বংশোদ্ভূত। জিপসিরা নিজেদেরকে বলে ‘রোম’ যার অর্থ মানুষ। কিংবা ‘রোমানিচল’ যার অর্থ মানুষের সন্তান।

জিপসি মাইথোলজি অনুযায়ী, রোমান সৈন্যরা যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য এক মিস্ত্রি কে ৪ টি পেরেক তৈরির দায়িত্ব দেন। কিন্তু চতুর্থটি সম্পন্ন হওয়ার আগেই তারা তিনটি পেরেক নিয়ে চলে যায় আর বাকি একটি পেরেক সন্ধ্যায় নিয়ে যাবে এই কথা দেয়।

মিস্ত্রি পেরেক টি তৈরি শেষে গরম পেরেকে ঠান্ডা পানি ঢেলে দিলো। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার পেরেক ঠান্ডা হলো না বরং আরো টকটকে লাল হয়ে উঠলো। সাথে কি প্রচন্ড তাপ! মিস্ত্রি ভয়ে দৌড়ে পালাতে শুরু করলো, সে দৌড়ে একটি কুয়োর সামনে এসে দাড়ালো। দেখলো তার চারপাশ আলোয় আলোকিত! একি সেই পেরেক যে তার সামনে দাড়িয়ে আছে! আর সেই আলো সেই পেরেক থেকেই বের হচ্ছে।

মিস্ত্রি পাগলের মতো কুয়ো থেকে জল তুলে পেরেকে ঢালতে লাগলো কিন্তু পেরেক আর ঠান্ডা হচ্ছে না। পানি ঢালতে ঢালতে মিস্ত্রি পুরো কুয়োর পানি খালি করে ফেললো তবুও সেই পেরেক ঠান্ডা হলো না। পরে মিস্ত্রি সেই পেরেক কে মরুভূমিতে বালু চাপা দিয়ে পালালো।

জিপসিরা বলে তারা সেই পালানো মিস্ত্রির বংশধর। সেই একটি পেরেকের ভয়েই তারা ছুটে চলেছে দেশ থেকে দেশান্তরে।

প্রিয় মিথুন, এই যে ছুটে চলা…এই রেশ টানার জন্য চেষ্টা আমি করিনা! আপনি মন চাইলে করতে পারেন। যদি জিজ্ঞাসা করেন, আমার মতামত কি?

খুব ছোট করে বলি-

“জীবনটা সাইকেল চালানোর মতো। ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে আপনাকে চলতে হবে।” – আলবার্ট আইনস্টাইন।

“চল হাত ছেড়ে শূন্যতা ধরে হাঁটি। – তারপর? তারপর ঠিক করে নেবে, আজীবন শূন্যতা, না আমি”। – রুদ্র গোস্বামী

প্রিয় কর্কট, কবিতা কেন শোনাই জানেন? আপনাকে শোনাতে গিয়ে নিজেকে শানিয়ে নেই।

আবেগ প্রবণতা আপনার জন্মগত স্বভাব, তাই বলে লোকে আপনাকে যতটুকু বোকা ভাবছে, অতটা কি আপনি?

মনোবিদ ওয়াটসন মনে করেন মানুষ জন্মগতভাবে আবেগপ্রবণ, সারমেনের মতে আবেগ শিশুর মনের বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আমাদের আবেগ-অনুভুতিকে নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের প্রিফন্টাল সার্কিট, সেটার সম্ভবত মাঝ বয়ঃসন্ধির আগ পর্যন্ত পূর্ণ বিকশিত অবস্থাপ্রাপ্ত হয় না। এ বিষয়টা বিশদ আলোচনার, আমি মোদ্দ কথায় আসি-

এ আবেগকে প্রশমন বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারাটা টিকে থাকার স্বার্থে খুব গুরুত্বপূর্ণ । আত্মসচেতনতাই হলো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে বড় সামর্থ্য। আত্মনিয়ন্ত্রণ করার অর্থ নিজের আবেগ-অনুভূতিকে দমন করা নয় বরং অ্যারিস্টটলের ভাষায়, ইচ্ছার কঠোর শ্রমচর্চা। ‘লাইফোমেশিয়ান এথিক্স’ গ্রন্থে অ্যারিস্টটল বলেছেন, ‘ক্রুদ্ধ যে কোনো মানুষই হতে পারে। সে কাজটি সহজ। তবে সঠিক উদ্দেশ্যে এবং সঠিক সময়ে ক্রুদ্ধ হওয়া এ কাজটি সহজ নয়।’

এবার বলি-

প্রিয় কর্কট, কবিতা দিয়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছি, সিদ্ধান্ত নেবার সুবিধার্থে জানিয়ে দিয়েছি অ্যারিস্টটল তত্ত্ব। আরও একটা কথা, আপনি বোকা না হলেও, আমি আজীবন বোকাই থেকে গেলাম!

বিজ্ঞান বলছে, আমরা জন্মগতভাবে পরোপকারী। আবার অন্যচিত্র আছে, যেমন- লিডস বেকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক স্টিভ টেলর বলেন, ‘শুধু সেলফিশ জিন’ ও ‘নিও-ডারউইনিজম’ তত্ত্বই নয়; মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও জীববিজ্ঞানের বেশ কিছু তত্ত্ব এই বিশ্বাসকে স্বাভাবিক করে তুলেছে যে প্রতিযোগিতা মানেই মানুষ স্বভাবতই নিষ্ঠুর, নির্মম বা স্বার্থপর।

        তবে, আমরা কখন নিজের কথা আগে ভাবি আর কখন অন্যের কথা আগে ভাবি, তা অনেকটাই পরিস্থিতি, আমাদের আগের অভিজ্ঞতা এবং সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। ডিসকানেক্টেড বইয়ের লেখক স্টিভ টেলর বলেন, ‘আমরা অনেক সময় নিজের স্বার্থে কাজ করি, এটা সত্যি। কিন্তু এই স্বার্থপরতার মাত্রাটা হলো আমাদের অহং বা সমাজের তৈরি করা পরিচয়ের অংশ।’

            টেলরের মতে, মানুষের ভেতরে হঠাৎই পরোপকারী হয়ে ওঠার স্বাভাবিক সক্ষমতাও আছে।

‘প্রিয়তমেষু/প্রিয়তমাসু’, ‘স্নেহভাজনেষু/স্নেহভাজনাসু’, ‘শ্রদ্ধাভাজনেষু/শ্রদ্ধাভাজনাসু’ আমার, কথা খুব পরিষ্কার (কথা আবার অপরিষ্কার হয় নাকি) অসুস্থ প্রতিযোগিতার নামে স্বার্থপর, নিষ্ঠুর, নির্মম হয়ে ওঠার যে চর্চা আমাদের মাঝে ফুটে উঠছে সেখান থেকে বেড়িয়ে আসাটা খুব জরুরী।

সত্য প্যান্ট পরতে পরতে মিথ্যা অর্ধেক পৃথিবী ঘুরে আসতে পারে”। – উইনস্টন চার্চিল

মিথ্যার আগ্রাসন  শক্তিশালী! আপনাকে আমাকে গ্রাস করে খুব সহজেই। অথচ কি জানেন, সত্য সুন্দরের জয় অবশ্যম্ভাবী। এটা আপনি যেমন জানেন, আমরাও জানি। তবুও…

        প্রিয় কন্যা, মন খারাপ করবেন না। সত্যকেই আঁকড়ে বাঁচুন। আপনার জন্য অভিনন্দন!  

“বেশির লোকের কাছে আমি কে? একজন অকর্মা, উদ্ভট, খ্যাপাটে মানুষ। সেই লোক সমাজে যার কোনো অবস্থান নাই, থাকবেও না।যদি তেমনটাই হয়ে থাকে, খুব ভালো। আমি আমার শিল্পকর্মের মধ্যে দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই, এই খ্যাপাটে লোকটারও আছে সুন্দর একটি হৃদয়”৷

উক্তিটি বিশ্ববিখ্যাত ডাচ চিত্রশিল্পী ভিনসেণ্ট ভ্যান গগ এর। নিজের কুৎসিত মুখাকৃতির ও জীবনের প্রতি প্রবল হতাশায় ভুগে এসব কথা বলেছিলেন তিনি। একটা সময়ে বিষন্নতায় ক্লান্ত হয়ে ১৮৯০ সালের ২৭ জুলাই ভিনসেন্ট ভ্যান গগ নিজের বুকে নিজেই গুলি করে বসেন। শোনা যায়, একটি গম ক্ষেতে দাড়িয়ে তিনি নিজের বুকে গুলি চালান। গুলি করার আগ মুহূর্তে গমের ক্ষেতে বসেই ছবি আঁকছিলেন তিনি। গুলি করার পরেও তিনি পায়ে হেঁটে হেঁটে নিজ বাড়িতে পৌঁছাতে সক্ষম হন। জীবন – মৃত্যুর মাঝামাঝি দুটো দিন কাটিয়ে ২৯ জুলাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

ছোট ভাই থিও ভ্যান গগের ভাষ্যমতে , তার জীবনের শেষ বাক্যটি ছিলঃ-

লা ত্রিসতেসে দুরেরা তৌজুরস ’ , যার ইংরেজি অনুবাদঃ- This sadness will last forever.’

প্রিয় তুলা, জীবনের প্রতি প্রবল হতাশা থেকে ভ্যান গগ স্বল্প আয়ুর দেহকে মুক্তি দিলেও তার শিল্পকর্ম দিয়ে অবিনশ্বর  হয়ে আছেন , থাকবেন। আমি তার আত্নহত্যার পথটাকে সমর্থন করছি না তবে শিল্পের পথটা স্মরণীয়! গোটা সপ্তাহ, নাহ! সারাটা জীবন শিল্প-সাহিত্যের সাথে নিজেকে (খুব ছোট করে হলেও) মিশিয়ে নিন, ভালো লাগবে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।     

“প্রত্যেক মানুষেরই মনের অতলে রয়ে গেছে সবুজ মাটি আর টলমলে পানির স্মৃতি। অন্ধত্ব কিংবা বধিরতা আমাদের পূর্বপুরুষের দেয়া এ অধিকার লুট করে নিতে পারে না। উত্তরাধিকার সূত্রে লব্ধ এ ক্ষমতা অনেকটা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের মতো- আত্মার ইন্দ্রিয়, যা একই সঙ্গে দেখে, শোনে এবং অনুভব করে”।

কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা হেলেন অ্যাডামস কেলার।

       হয়তো জানেন, তবুও বলি হেলেন অ্যাডামস কেলার শৈশবে রোগাক্রান্ত হয়ে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর পুর্ব অব্দি বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছিলেন। কিন্তু তার অন্ধত্ব কে, বধিরতাকে তিঁনি জয় করে নিয়েছিলেন বলেই শিল্পের নানান শাখায় তাঁর উজ্জ্বল পদচারণা। উজ্জ্বলতার আলো সৃষ্টিশীল মানুষের দ্বারে এসে নতজানু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তাঁকে রাঙাবে বলে… এইদিকে আপনারা কেউ পরে আছেন “রাঙাপরি” মেহেদি নিয়ে, আর কেউ সে হাত দেখার অসীম আগ্রহ নিয়ে।

Don’t mind. My Dear, বৃশ্চিক! সামনেই পরে আছে আলোর ঝলকানি শুধু আপনাদের হাত দুটো বাড়িয়ে দিতে যতক্ষণ সময়।  

ডিয়ার ধনু, গত সপ্তাহে বলেছিলাম-

No চিন্তা, Do ফুর্তি!

আজ আপনার জন্য একটা-ই কথা,

“যে কখনও ভুল করেনা। সে নতুন কিছু করার চেষ্টা করে না”।

-অ্যালবার্ট আইনস্টাইন 

যারা ভুল এড়িয়ে চলে তারা আসলে নতুন কিছু করার প্রচেষ্টা থেকেই দূরে থাকে। আপনার জন্য আগাম শুকামনা!

কে না চেনে? সকলেই নিশ্চই চেনেন- বিপ্লবী লেপা রেডিক কে!

        ১৯৪৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী লেপার ফাঁসি কার্যকর করার আগে ফাঁসির দড়ি জড়ানো অবস্থায় নাৎসি বাহিনী তাকে শেষবারের মতো জিজ্ঞেস করে, তার কমান্ডার ও সঙ্গী সাথীদের সম্পর্কে। তাকে বলা হয়, সঠিক উত্তর দিলে লেপাকে তারা ছেড়ে দেবে।

সেই প্রশ্নের জবাবে লেপা রেডিক বলেছিলো,

“আমি বিশ্বাসঘাতক নই। যাদের কথা জিজ্ঞেস করছো, তারা আমার হত্যার প্রতিশোধ ও আসল অপরাধীদের হত্যা করার জন্য এলে নিজেদের পরিচয় জানিয়ে যাবে।”

প্রিয় মকর, দেশ-কাল-পাত্র ভেদে পরিবর্তনশীল অনেক ইতিহাসের ভীড়ে সত্য টিকেই থাকে। বিশ্বাসঘাতকেরা ইতিহাসের খল নায়ক হিসাবেই বিবেচিত হবে, এটাই চরম সত্য। সেটা আজ অথবা কাল। আর যিনি নিজেকে বিসর্জিত করেছেন নির্ভরতার আকাশ হিসাবে, তিনি সত্যসুন্দরের পুজারী। তার ক্ষয় নাই, তিনি পুজার প্রাপ্য চিরকাল।

        প্রিয় মকর, আমার খুব কান্না পাচ্ছে। আপনার পাচ্ছে না! না পেলে কি আর করার! ভুল বুঝিয়েন না কাউকেই! তিনি মিথ্যা হলে ইতিহাস ক্ষমা করবেন না তাকে- এই ভেবে তাকে ক্ষমা করে দিন।

আমি এখানে গল্পে-গল্পে লিখি, অনেকের জীবনের ঘটনার সাথে ঐ সকল গল্প মিলে যায়। এইটা মিরাক্কেল! আর কিচ্ছু না! সাধারণত আমাদের সকলের জীবনে একই রকম ঘটনা, একটু সামান্য হের-ফের হয়ে ঘটে। তার মানে এই না আমি আপনার জীবনের গল্প জেনে গেছি। জানলেও বলতাম না, এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। বাদ দেন! পদার্থবিজ্ঞানের খুব সহজ একটা সূত্র- “প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে”(নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র)। আপনার জন্য মাই ডিয়ার কুম্ভ, গতি সূত্রের বিপরীত প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা না করে সাবধান হতে সমস্যা কি?   

এই যে সারারাত জেগে জেগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান কিসিমের মানুষ নামক আজব আজব জন্তুর রঙ্গখেলা দেখেন, আপনাদের বিরক্ত লাগে না?

বলবেন- ‘জীবন আমার সিদ্ধান্ত আমার’। আমিও তাই বলি। এই কারণে কাউকেই কিছু বলি না। এমন কি প্রিয় মীন, আজ আপনাকেও কিছু বলবো না ভেবে রেখিছি।

হতাশ হবেন না- কিছু একটা না বললে আপনার মন ভেঙ্গে যাবে, জানি। শোনেন-

চলমান সপ্তাহের যে কোন একদিন ভোরের পবিত্র আলোয় নিজেকে মগ্ন করে, নিজেকে জিজ্ঞাসা করবেন- সত্যি কি নিজের কাছে নিজকে গোপন করা যায়? উত্তর যা পাবেন আমাকে লিখে জানাইয়েন, কতদিন চিঠি পাই না…       

জেনে রাখা ভালো

. জন্ম তারিখ অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে রাশি মেলে না (বেশ কিছু হিসাব থেকে যায়)

. এখানে রাশিচক্রে আমি  ‘সংখ্যা তত্ত্ব-জ্যোতিষ’ পদ্ধতি প্রয়োগের চেষ্টা করেছি

. ভাগ্য অনেক ক্ষেত্রে অনির্দিষ্ট কারণে নিজের গতিপথ বদলাতে পারে এবং করেও 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।