চড়া সবজির বাজারে নতুন করে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক কেজি কাঁচা মরিমের দাম ১৬০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।
পুরাতন ‘অজুহাত’ দিয়ে বিক্রেতাদের দাবি, ‘বৃষ্টির কারণে’ কাঁচা মরিচের দাম এতটা চড়া। সবজির দামও চড়া।’
শুক্রবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী, বাসাবো, মালিবাগ, রামপুরা কাঁচা বাজারে এমন চিত্র মিলেছে।
মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা আবেদ আলী মাধ্যম২৪ ডটকমকে বলেন, “আগের সপ্তাহে কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সেটাই আজ হয়েছে ৪০০ টাকা। বৃষ্টি পড়লেই দাম বেড়ে যায়।”
এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৩৪০ টাকা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে কাঁচা মরিচ আসছে কম। দামও বেশি।”
সবজির বাজারে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায় কোরবানির ঈদের পর থেকেই। সেটা কমে আসার লক্ষণ নেই। বরং বর্ষা মওসুমে কোনো কোনো সবজির দাম আগের তুলনা বাড়তি দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে দেখা গেছে, করলার দাম আগের সপ্তাহের মতই প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢেঁড়স প্রতি কেজি আগের সপ্তাহে দোকানভেদে ৬০ থেকে ৮০ পর্যন্ত বিক্রি হলেও শুক্রবার ৬০ থেকে ৭০ টাকায় পাওয়া গেছে।
আগের সপ্তাহের মতই চিচিঙ্গা ও ঝিঙা ৬০, পটল ৬০ থেকে ৭০ ও ধুন্দল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
অপরদিকে কাঁকরোল ৪০ টাকা, কচুরমুখী ৯০ থেকে ১০০, সজনে ১০০ থেকে ১২০ ও ঝিঙা আগের মতই ৬০ টাকা কেজি দরে মিলছে।
তবে প্রতি কেজি টমেটো ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ৫০ টাকা। গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৫০ ও শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বাজারে আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে। এদিন আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা কেজি দরে, আগের সপ্তাহেও এ দরে বিক্রি হয়েছে।
লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
আগের সপ্তাহের তুলনায় বড় পেঁয়াজের দাম কমেছে। এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দের, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
মাঝারি ও ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ টাকা দরে, আগের সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা।
আদার দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি মোটা আদা ২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৭০ টাকা, চিকন আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা।
দাম বেড়েছে রসুনেরও। শুক্রবার বড় রসুন বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২২০ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। ছোট রসুন বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি।