কুড়িগ্রাম থেকে মাহমুদুন্নবী তরুঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায়, অপরাধ দমনে ড্রোন দিয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। সপ্তাহে দুদিন দুর্গম চরাঞ্চলের আকাশে ড্রোন উড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নজরদারি করা হচ্ছে।
নৌরুটে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি জোড়গাছ হাট, রমনা ঘাট, কাঁচকোল, ফকিরের হাট ও চিলমারী ইউনিয়নের চরগুলোতে নজরদারি রাখা হচ্ছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ রুটে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), নৌপুলিশ ও থানা পুলিশ টহল জোরদার করেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিভিন্ন সময় চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর রুটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই দুই রুটে হাটের দিনসহ অন্য দিনেও বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে। পুলিশের টহলের পাশাপাশি ড্রোন উড়িয়ে এ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নজরদারি করা হচ্ছে।
স্থানীয় সুত্র জানা যায়, চিলমারীর জোড়গাছে সপ্তাহে রোব ও বুধবার গরুর হাট বসে। এদিন চিলমারীর চর এলাকাগুলো ছাড়া আশপাশের উপজেলা থেকে নৌরুটে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করেন। এসময় বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে নজরদারি বাড়ানো হয়।
গরু ব্যবসায়ীরা জানান, আগে জোড়গাছ গরুর হাটে এলে নদীপথে অনেক ঝুঁকি ছিল। পরপর কয়েকবার ডাকাতির ঘটনাও ঘটে। এখন পুলিশের কঠোর নজরদারি রয়েছে।
চিলমারী নৌপুলিশ ফাঁড়ির স্টেশন ইনচার্জ (আইসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে যে কোনো অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, চিলমারী নদী বন্দর ও নৌরুটে অপরাধ প্রতিরোধের জন্য সার্বক্ষণিক ড্রোন দিয়ে মনিটরিং চলছে। অতিরিক্ত পুলিশি তৎপরতার কারণে নৌ ডাকাতি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।