খেলা

বিদায় প্লে কর্টের মহারাজা। 

বিদায় প্লে কর্টের মহারাজা।
স্পোর্টস রিপোর্টার, সৈয়দ ওমর ফারুক

২০২৪ হারালো এক টেনিস মহারতি কে। টেনিস কে বিদায় বললেন প্লে কোর্টের মহারাজ রাফায়েল নাদাল।

ছোটবেলা থেকেই নাদাল ভালবাসতেন ফুটবলও টেনিসকে। স্পেনের দ্বীপ ভয়ংকর রাস্তায় বন্ধুদের সাথে মেতে থাকতেন শিশু নাদাল ফুটবলে। তার চাচা টনি নাদাল ছিলেন একজন টেনিস প্রশিক্ষক। তিনি আবিষ্কার করেন আদালের টেনিস খেলার প্রতিভা এবং তার নাদালকে নিয়ে নিবিড় অনুশীলন করান নিজের তত্ত্বাবধানে। সেই ইনি সেশনগুলো অত্যন্ত ইনটেন্স যেগুলোতে অনেক সময় নাদাল কেঁদে কেঁদে বাড়িতে ফিরত।

ফুটবলার হবে না টেনিস প্লেয়ার হবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নাদাল সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল । এই সময় ১৯৯৮ বিশ্বকাপ সামনে চলে আসে বারো বছর বয়সী নাদালের সামনে। সে বিশ্বকাপে স্পেনের খেলা দেখে না সে টেনিসেই তার ক্যারিয়ার করবে। এবং তখনই তিনি জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করেন এই বছরই তিনি বেশ কিছু জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে জয় করে তাক লাগিয়ে দেন। ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তে জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে থাকেন। ২০০০ সালে ওই সময়কার এক নাম্বার প্লেয়ার কার লস মায়া এক্সিবিশন ম্যাচে পরাজিত করে বিশ্বকে চমকিয়ে দেন। কার্লোস মোয়া না দলের মেন্টর হিসেবে কাজ করেন এবং পানি নাদাল সারা জীবনই নাদাল এর কোচ হিসেবে থেকে  যান। ২০০১ সালে নাদাল প্রথম লাইসেন্স টি পায় প্রকৃতির যোগিতা প্রতিযোগিতামূলক টেনিস খেলার সুযোগ পায় এ বছরই তিনি প্রকৃত প্রতিযোগিতা মূলক টেনিসে প্রথম জয় পায়।

এরপর তিনি এই বছরে এটিপি ফাইন্যান্সেও জয় পায় এবং বিশ্বের যে কোন একজন অভিশ্রময় তার ৭৬ নম্বর রাঙ্কিং এর প্লেয়ার কে হারিয়ে প্রথম অ্যাক্সিডেন্টের মধ্যে থাকা প্লেয়ার কে এবং ২০০১ সাল নাদাল শেষ করে ৮১১ নাম্বার  এর থেকে। এরপর ক্রমান্বয়ে নাদাল রেংকিং উন্নতি করতে থাকে। এবং তিনি ১৯ বছরের টিনেজার থাকা অবস্থাতে আন্দ্রে আগাছি  সমান ২৬ টি ম্যাচ জয়  বিশ্ব রেকর্ড করেন। ২০০৪ সালে তিনি ভারতে এসে চেন্নাই ওপেন এই শিরোপা যেদিন এবং এই সময় নাদাল ডাবলস খেলে খেলেও অনেক কিছু শিরোপা যেতেন এবং ডেভিস কাপে ২০০১ সালে কত বছরের নাদাল সাহায্য করে এবং তৎক্ষণাৎ নাম্বার রদিক কে হারিয়ে দেয়। ২০০৫ সালের প্রথম প্লে কোর্টে শিরোপা জেতে ফ্রেঞ্চ ওপেনে এবং সেটি ফ্রেন্ড চোপানের জয়জয়কার শুরু হয় পরবর্তীতে ১৪বার যেতেন।রেকর্ড এবং নাদাল বিশ্ব রেকর্ড করেন একই বছরে তিন ধরনের কোর্টে তিনি শিরোপা যেতেন। তার ক্যারিয়ারে কোন এর জন্যই অনেকের মাথা ব্যাথার কারণ 

 তিনি ১০২৮ টি ম্যাচ জয়ের বিপক্ষে ২২৮ টি ম্যাচে হারের স্বাদ বরণ করেছেন। তিনি মাত্র ২৪ বছর বয়সে ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড সালাম করেন এবং এটি কম বয়সী কেরিয়ার মেনশন করার রেকর্ড এবং ২০০৮ সালে অলিম্পিক গোল্ড মেডেল টেনিসে তিনি জয় লাভ করেন। এবং এই ক্যারিয়ার দুই বার অর্জন করেন প্রিন্ট ওপেন ১৪ বার শিরোপার পাশাপাশি নাদাল চারবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও দুবার ইউ এস ওপেন দুবার উইমব্লেনদেন জেতেন।বাংলাদেশের খেলার জন্য নানাল টেনিসে বেশ কিছু সুবিধা পেতেন কিন্তু তিনি তার প্রতিভা এবং তার এক নিষ্ঠুর চেষ্টায় এতদূর উঠে এসেছে এবং তার থেকে রিটায়ারমেন্ট এর সময় তার আই ছিল এক কোটি ৯৪৬০০ মার্কিন ডলার। রজার ফেদারার ও পবিত্র সাথে দ্বৈরথ বাসীদের জন্য অত্যন্ত উপভোগ্য। ২২ টি গ্রান্ড সালাম টাইটেল নিয়ে রাখাল মাদল ২০২৪ এর ১৯ শে নভেম্বর ডেভিস কাপের ম্যাচ দিয়ে।। তিনি তিনজন প্লেয়ারের মধ্যে আছেন যারা ক্যারিয়ার গোল্ডেন স্ল্যাম স্পর্শ করেছে। ভবিষ্যতে খুদে টেনিস প্লেয়ারদের জন্য এক প্রেরণায় থাকবে  নাদাল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।