ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে একটি পোশাক কারখানা থেকে হুড়াহুড়ি করে নামতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন অন্যদিকে দ্বিতীয় তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে দুই মাদরাসা শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় অবস্থিত আমির শার্ট গার্মেন্টে এ ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে দুই শতাধিক গার্মেন্টকর্মী আহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, আহতদের সেবায় আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত কতজন ভর্তি হয়েছেন সেটার সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তবে এ সংখ্যা দুই শতাধিক হবে। এ ছাড়া একের পর এক আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে কেউ গুরুতর আহত হয়নি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা জানান, ভূমিকম্পে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে একই সময়ে ভূমিকম্পের আতঙ্কে দ্বিতীয় তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে দুই মাদরাসা শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
সকালে ভূমিকম্প শুরু হলে উপজেলার ঢালুয়া রহমতিয়া সিনিয়র মাদরাসার হিফজ বিভাগের মুনতাসির ও সায়েম নামে ওই দুই শিক্ষার্থী লাফ দিয়ে নিচে পড়ে তারা গুরুতর আহত হয়। আহত মুনতাসির বদরপুর গ্রামের ওলামা বাড়ির জহিরুল ইসলামের ছেলে ও সায়েম একই বাড়ির শহিদুল ইসলামের ছেলে। দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের ঢালুয়া রহমতিয়া সিনিয়র মাদরাসার হিফজ বিভাগের দুই শিশু শিক্ষীর্থী মাদরাসা ভবনের দোতলার বারান্দায় খেলা করছিল। ভূমিকম্প শুরু হলে শিশু দুটি লাফ দিয়ে নিচে পড়ে। পরে তাদেরকে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুগুলোকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়।