আপনার এই সপ্তাহ (০৭ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর)
স্যার আর্থার চার্লস ক্লার্ক (বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক , বিজ্ঞান লেখক, উদ্ভাবক, সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধানকারী)
বলেছেন –
‘জ্যোতিষশাস্ত্রে আমার কোনো বিশ্বাস নেই। তবে হ্যাঁ, এ কথা সত্য যে আমি ধনু রাশির জাতক। আসলে আমরা মানুষরা বরাবরই সন্দেহপ্রবণ’।
এ কথার বিপরীতে অনেক কথা আছে , তবে আমরা একটা বিষয় পরিস্কার করে বলতে চাই- মানুষ নিজেই তাঁর ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে অনেকাংশ, বাকি অংশ ভাগ্য বলতে দোষের কিছু নেই…

একজন অষ্টদশ উত্তীর্ণ তরুণীকে একবার বলেছিলাম-
‘কবিতা ভালোবাসেন না অথচ কবিকে বুঝে উঠতে চান!’
উত্তরটা এমন দিয়েছেন উনি, যেটা আমি ভাবি নাই! কি উত্তর দিয়েছিলেন? কোন একদিন বলবো নিশ্চয়ই…
সপ্তাহের শুরু থেকে শেষ অব্দি অপেক্ষা আপনার জন্য…কিছু কিছু মুহূর্তকে উপভোগ করতে হয়, সবকিছুতেই যন্ত্রণা নিতে নেই।

‘এই খেদ আমার মনে-
ভালবেসে মিটল না সাধ কুলাল না এ জীবনে! হায় জীবন এত ছোট কেনে?
এ ভূবনে?’
কবি উপন্যাসে এই কবিতাটি মূলত উপন্যাসের মূল সুর। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নিতাইচরণ জীবনে পাওয়ার চেয়ে হারিয়েছে অনেক বেশি। এক হতভাগা কবিয়ালের জীবনকে অসাধারণ ভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়। আপনি যদি কবি উপন্যাস না পড়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য পুরা সপ্তাহ সময়, পড়ে ফেলুন…
আমি জানি বেশিরভাগ পাঠক পড়ে ফেলেছেন, যারা পড়েছেন তারা জানেন- আমি কি বলতে চাই। যারা পড়েন নাই- তারাও পড়ে জেনে নিন- আমি কি বলতে চাই এই সপ্তাহের জন্য।

“ফলবতী বৃক্ষ নত হয়, নত হয় গুণীজন, নত হয় না শুধু শুষ্ক বৃক্ষ আর মূর্খরা”। – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
আমার বলার কিছুই নাই! তবুও বলি-
আমিও চাই মানুষ বিনয়ী হোক। তবে মেরুদণ্ড সোজা করে অর্থাৎ সুন্দর কে ‘সুন্দর’, মন্দকে ‘অসুন্দর’ বলার মধ্য দিয়ে মানুষ বিনয় শিখুক।

যদি ছেড়ে যেতে চাস করব না প্রতিবাদ
পিছুও ডাকবো না তোকে
প্রেমিক মানে মাথা নোয়ান কোনো লোক নয়
প্রেমিকের পিঠেও শিরদাঁড়া থাকে
– রুদ্র গোস্বামী
‘রুদ্র গোস্বামীকে পড়তে পড়তে একদিন কারো প্রেমের খাঁদে ডুবে যাবো’- এমন ভাবনার মানুষ যদি পেয়ে যান, আমাকে জানাবেন দয়া করে। আমি আপনাকে এর চেয়ে বড় ‘সারপ্রাইজ’ দেব কথা দিলাম, প্রিয় কর্কট।

শুনলাম ইদানিং কারো কাছে টাকা পয়সা চেয়েও পান নাই! টেনশন নিয়েন না।
জীবন সূত্রের ধারাবাহিকতায় জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। তবে স্থির থেকে, সে সময় নিজের যন্ত্রণাকে অন্যের জন্য বরাদ্দ করা থেকে বিরত থাকুন।

বিশ্বাস রেখেছেন বলেই ফিরে আসবে সুদিন। সাথে মনে রাখার জন্য বলি-
শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সহাইবে তাহাই সয়।

এতো উড়ু উড়ু মন নিয়ে বিচলিৎ হয়ে যা ভাবছেন, আসলেই কি সেটা মঙ্গলময়!
ভাবতে ভাবতে গল্প-কবিতা-সিনেমা-গানে ভেসে যেতে পারেন।

গ্রীক মিথলজির সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ অ্যাডোনিস। অ্যাডোনিসের জন্ম হয় এবং মৃত্যুও হয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মধ্য দিয়ে।
মিথলজি অনুসারে, আফ্রোদিতির বাহুতে মাথা রেখে মৃত্যুবরণ করে অ্যাডোনিস ।
মৃত্যুর পর অ্যাডোনিস-এর রক্ত নির্যাস ও অ্যানিমোন ফুলের সঙ্গে মিশিয়ে ছিটিয়ে দেয় শোর্কাত দেবী।
অ্যানিমোনের রক্ত-লাল রঙ অ্যাডোনিসের রক্ত থেকে এসেছে, যেখানে “অ্যানিমোন” নামটি পাপড়ির দুর্বলতাকে বোঝায় যা বাতাস সহজেই উড়ে যেতে পারে ।
অ্যানিমোন ফুল দিয়ে সাজান কোন বাগান দেখলে আমার কেবলি মনে হয়, অ্যাডোনিসের রক্ত ভাসছে…
কেন জানি না এটাও মনে হয়- প্রিয় বৃশ্চিক, আপনার সারা সপ্তাহ কেটে যাবে অ্যানিমোন ফুলের খোঁজে…

শীত চলে এসেছে গ্রাম বাংলায়। শহুরে হবার নাগরিক যন্ত্রণা থেকে আমাদের মুক্তি নেই, এটা ভেবে মন খারাপের কিছু নেই। পথ পরিবর্তন করে প্রিয় ধনু, উঠে পড়ুন ট্রেনে, দেখা হলে হতেও পারে। খুব গম্ভীর চেহারার কাউকে ‘আমি’ ভেবে ভুল না করলে খুশি হব।

মকরের সহজাত প্রবৃত্তি ‘চিত্তাকর্ষক’ ।
ভিন্নকিছু দেখার মধ্যে মুগ্ধতা আছে, দেখানোর মধ্যেও আছে সৃজনশীলতা।
প্রিয় মকর, অপেক্ষা করুন আর না করুন, ফলাফল ভিন্ন হবে না, যদি কর্ম পদ্ধতি সঠিক না হয়। আপনার জন্য শুভাশিস!

আর কতজন বলবো- আমি হাত দেখি না!
আমি মুখ দেখি- সরলতার ছায়া আমাকে যেমন মোহিত করে, ভাবনার ফেলে দেয় তার চেয়ে দ্বিগুণ! চোখের বিস্ময়তায় আমাকে জাদু করলে যেমন ভালোবেসে ফেলি, তেমনি ভয় পাই নানান কারণে।
মুখ আসলে মনের আয়না, ব্যক্তিগত ভাবে এই দর্শন বিশ্বাস করতে চাই।

প্রিয় মীন, শুভেচ্ছা জানবেন।
অজানা এক কারণে আজকাল চিঠি লিখতে মন চায়। ম্যাসেঞ্জারে মন নিতে পারি না। ভাবছি, এরপর আপনার ঠিকানা পেলে চিঠি লিখবো। সেখানে ফুল-পাখি এঁকে লেখা থাকবে – যেখানেই থাকো, ভালো থেকো…
জেনে রাখা ভালো–
১. জন্ম তারিখ অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে রাশি মেলে না (বেশ কিছু হিসাব থেকে যায়)।
২. এখানে রাশিচক্রে আমি ‘সংখ্যা তত্ত্ব-জ্যোতিষ’ পদ্ধতি প্রয়োগের চেষ্টা করেছি।
৩. ভাগ্য অনেক ক্ষেত্রে অনির্দিষ্ট কারণে নিজের গতিপথ বদলাতে পারে এবং করেও।
