মাধ্যম ডেক্স রিপোর্ট:
বিএনপি ও জামায়াত যেন ‘ফিফটি, ফিফটি’ ভোট পায়, এমনটা চেয়েছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সাবেক সভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কালা মিয়া। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন এর পাশে বসে বক্তব্য দেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। জয়নাল আবেদীন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট—৪ (কোম্পানীগঞ্জ—গোয়াইনঘাট—জৈন্তাপুর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী।
ভিডিওটি গত শুক্রবারের (২৭ জুন) বলে জানা গেছে। ভিডিওতে আওয়ামী লীগের এই নেতাকে এনসিপির সমালোচনা করতে শোনা যায়।
ভিডিওতে কালা মিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আওয়ামী লীগ সরকার আবার এই দেশে আইতে হইলে (আসতে হলে), জন্ম নিতে হইলে, ১০—১৫ বছরের আগে সম্ভব নয়। যদি আইত পারে, দীর্ঘদিন যাইত ওইব ওলান (অপেক্ষা করতে হবে)।’’
জামায়াত নেতা জয়নাল আবেদীন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এখন আমরার চেয়ারম্যানসাব (জয়নাল আবেদীন) আইছইন, সামনেদি (আসছেন সামনে) নির্বাচনে এমপি পদপ্রার্থী ওইবা (হবেন) আল্লাহর যদি হুকুম ওয়। আর তাইন পাস করতা পারইন (তিনি পাস করতে পারলে) আমরার এলাকার মানুষ যারা ভোট দিবা; যারা হাটবা—খাটবা তারতো মূল্যায়ন পাইত। যদিন ফেইলও মারইন, তা—ও মূল্যায়ন পাইত। ফেইল মারলেও তো এমপি। আমরা আশা করছি, আল্লাহ পাস কারাউক্কা। দলে যদি সরকার গঠন না করে; তবে আমরা ইগু আশাবাদী জামায়াতে ইসলাম বিরোধী দল থাকব। এর তাকি বেশি দূরে না যাইয়ার।’’
কালা মিয়া বলেন, ‘‘যদি পাস না—ও করতে পারে, জামায়াতে ইসলামরে বিরোধী দল তনে হরাইয়া রাখতা পারতা নায় (জামায়াতকে বিরোধী দল থেকে সরিয়ে রাখা যাবে না)। আর যা দল আছে, নতুন দল নাগরিক পার্টি একটা বাইর করছে, এরা যে কতটা সিট পাইব, পাবলিকেও জানে তারাও জানে। তারার তো ইচ্ছা দেশ দখল করি লাইতা (দেশ দখল করার ইচ্ছা)। কিন্তু ইলেকশনে খারাইয়া দেখউক্কা (দাঁড়িয়ে দেখুক) কত ধানে কত চাল বারই।’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরাও চাইরাম আমরার সেন্টারে জামায়াতে ভোট পাউক অর্ধেক, আর বিএনপি নেউক অর্ধেক। তারাও যেহেতু নির্যাতিত…আগে পাইছইন না; তারাও পাইত। আমরা চাইরাম সমান সমান ফিফটি, ফিফটি করিয়া।’’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন দাবি করেন, এটা কোনো নির্ধারিত প্রোগ্রাম ছিল না। তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে ঘরোয়া আলোচনায় অংশ নেন। হঠাৎ কেউ একজন ওই ব্যক্তিকে কিছু একটা বলতে বলেন। কালা মিয়াকে তিনি চেনেনও না।
এ বিষয়ে জানতে কালা মিয়ার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।