ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসককে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে আরিফ হোসেন (১৮) নামে এক মানসিক রোগীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুনে) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর প্রায় এক ঘণ্টা জরুরি বিভাগের নিউরোসার্জারি চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, জরুরি বিভাগের ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটারের (কক্ষ-৪) নিউরোসার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসকের গালে থাপ্পড় মারেন আরিফ। পরে আনসার সদস্যরা তাকে আটক করে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। এরপর তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অভিযুক্ত আরিফের বাবা মো. তাজউদ্দিন জানান, তারা নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার কাশিপুর খিল মার্কেট এলাকায় থাকেন। আরিফ একটি ছাপাখানায় কাজ করতেন। কয়েক মাস আগে তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
তিনি বলেন, “জরুরি বিভাগে টিকিট কেটে ৪ নম্বর কক্ষে ঢোকার পর চিকিৎসক জানতে চান, আমরা কোথা থেকে এসেছি। তখনই আরিফ হুট করে চিকিৎসকের গালে থাপ্পড় মারেন।”
আরিফের মা শিল্পী বেগম বলেন, “আমার ছেলের মাথায় সমস্যা। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। মাথায় সমস্যার কারণে না বুঝে ডাক্তারকে মেরেছে। ডাক্তাররা তাকে পুলিশ দিয়েছেন।”
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) মোস্তাক আহমেদ বলেন, “কর্তব্যরত চিকিৎসকের গায়ে হাত তুলেছেন চিকিৎসা নিতে আসা আরিফ নামে একজন রোগী। এ ঘটনায় পরিবার জানিয়েছে, ওই যুবক মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তবে এটা আগেই জানানো উচিত ছিল। রোগী যদি ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে হামলা করতেন, তখন কী হতো? এসব ঘটনা এড়াতে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা দরকার।