সারাদেশ

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রঙিন ফুলকপির আবাদ

যশোরের মনিরামপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রঙিন ফুলকপির আবাদ। এই ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি পুষ্টি গুনাগুণের কারণে সাথে বাজারে নতুন হওয়ায় দাম বেশীর ফলে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

       উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের পলাশী গ্রামের কৃষক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস সারা বছরই তার জমিতে নানান ধরনের সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এবার তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে রঙিন ফুলকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছেন। প্রদীপ তার ২০শতক জমিতে বিভিন্ন রঙের ফুলকপি চাষ করে ১০গুন লাভবান বলে আশা করছেন।  তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও।

       কৃষক প্রদীপ বিশ্বাস জানান ,আমি এনজিওতে চাকরী করতাম। ২০১৪ সালে চাকুরী ছেড়ে চাষাবাদে মন দিই। সেই থেকে টেলিভিশন ,পত্র-পত্রিকা, কৃষি বিভাগ প্রভৃতির সাহায্য নিয়ে নতুন নতুন জাতের নতুন ফসলের আবাদ করা আমার এক ধরনের নেশা। সর্বশেষ ইউটিউব চ্যানেল থেকে রঙিন ফুল কপির আবাদ দেখে এ চাষের ওপর ঝুঁকে পড়ি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে রঙিন ফুলকপির চাষ করি । বীজ থেকে চারা তৈরি করি। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর ক্ষেতে আসে রঙ্গিন ফুলকপি। বীজ থেকে শুরু করে ফসল তোলা পর্যন্ত ১২০ শতক জমিতে রঙিন ফুল কফিপ আবাদ করতে প্রায় হাজার দশেক টাকা খরচ হয়েছে। সপ্তাহ দুই হলো ফুলকপি বিক্রি শুরু করছি। এতে খরচের টাকা ওঠে গেছে। আশা করছি হাজার পঞ্চাশ টাকা বিক্রি করতে পারবো।

তার আশা বাগান থেকে ১ লাখ টাকার বেশী বিক্রি হবে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রঙিন ফুলকপি।

 তিনি আরও জানান, মজার ব্যাপার হলো রঙিন ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। তাছাড়া বাজারে নেয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন কপি।

       রোহিতা ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারী তুহিন কুমার বিশ্বাস বলেন, যশোর অঞ্চল “টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের” আওতায় মনিরামপুর কৃষি অফিসের এর মাধ্যমে কৃষক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস কে রঙিন ফুল কপির বীজ ও সার কীটনাশক প্রদান করি। কৃষক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তিনি প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভ করে বাজিমাত করেছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষ করবে বলে আগ্রহী হচ্ছেন।

       উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার বলেন,রঙিন ফুলকপি যেমন দেখতে সুন্দর, তেমনি এতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট সম্পন্ন ঔষধি গুনাগুন, যা ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধক। অন্যদিকে, দামে চড়া, সহজে বিক্রি ও আবাদ করা যায় বিধায় চাষিরা রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।