রোববার বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে হচ্ছে। সময় যত ঘনিয়ে আসবে আরও ভালো হবে। উৎসবমুখর না হলে নির্বাচন কমিশনের বদনাম হবে। তারা মর্যাদা হারাবেন। নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ হয়, তারা যদি দক্ষ হয়, তাহলে নির্বাচন আরও জমে উঠবে। নির্বাচন হচ্ছে ভোটারদের। তারা যদি সুষ্ঠুভাবে ভোট দেয়, তাহলে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে।
অবাধ নিরপেক্ষ ভোট হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি কখনো কোন কিছু নিয়ে আশঙ্কা করি না, এখনও করছি না। আমি মোকাবিলা করতে পছন্দ করি। নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে কি না সেজন্য নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমার বড় ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীও দাঁড়িয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যাক ভোট কেমন হয়?
বিএনপি ছাড়া ভোট কেমন হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি ভোটে আসতে পারতো, তবে আসেনি। এটা ভোটাররা দেখবেন, বিবেচনা করবেন। রাজনীতিতে পাবলিকের প্রাধান্য থাকা দরকার। ভোটারদের প্রাধান্য থাকা দরকার। কে কী বলল কে এল তাতে কিছু যায় আসে না। তার চাইতে ভোটারদের প্রাধান্য ও ভোটার কী করছেন তার প্রাধান্য থাকা দরকার।
গত দুটি নির্বাচনে আপনার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে। এবার সহজেই গ্রহণ হলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সবসময় ষড়যন্ত্র থাকে। আমরা সবসময় উজান বেয়ে এসেছি। পাকিস্তান আমলে বেয়েছি। বঙ্গবন্ধু নিহত হলে প্রতিবাদ করে তখনও বেয়েছি। এখনও বেয়ে চলেছি। তবে এবার প্রার্থিতা গৃহীত হওয়ায় আমার কর্মী-সমর্থকরা খুশি।
টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) আসনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ও আওয়ামী লীগ মনোনীত অনুপম শাহজাহান জয়সহ সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। সবার মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।